পদ্মা সেতুর ৩ কিলোমিটার দৃশ্যমান

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান ‘৩-ডি’ স্পেন বসানোর মধ্য দিয়ে তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে জাজিরা প্রান্তে ১৮-১৯ নম্বর পিলারের ওপর স্পেনটি বসানো হয়।

শীতে প্রতিদিনের মতো আজ সকালে কুয়াশা দেখা দেয়। এতে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করলেও বড় কোনো বাধা হয়নি।

পদ্মার বুকে পিলারগুলো (পিয়ার) প্রস্তুত সম্পূর্ণ থাকায় গত মাসে (নভেম্বরে) সংশ্লিষ্টদের ঘোষণা দেয়া ছিল, পুরো ডিসেম্বর মাসে বসানো হবে তিনটি স্প্যান। চলতি মাসের ১১ ও ১৮ তারিখে বসানো হয় দুটি স্প্যান। তৃতীয় স্প্যানটি কবে বসানো হবে, তা নিয়ে ছিল অপেক্ষা। আজ তার বাস্তবায়ন হলো।

এর আগে কোনো কোনো মাসে দুটি করে স্প্যান বসানো গেলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনটি স্প্যান বসানো যায়নি কোনোবারই। তবে এবার কাজে গতি বাড়ায় সেটি সম্ভব হলো, বসল তিনটি স্প্যানই।

যেমন আজ মাসের শেষ দিন হলেও চলতি মাসেই এ স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি নেয়া হলো পূর্ব সিডিউল অনুযায়ী।

এদিকে মাঝ নদীতে সেতুর ৪ নম্বর মডিউলের ছয়টি স্প্যানের মধ্যে আগেই বসানো আছে চারটি। সবশেষ ১৯তম স্প্যানটিও বসানো হয়েছে এখানে। বর্তমানে দৃশ্যমান চারটির সঙ্গেই যোগ হয়ে এখন নতুন স্প্যান। তাতে নদীর বুকে এখন প্রায়ই এস আকারে আকাশি রঙের ব্যানার জোড়ানো, এক দৃশ্যের দেখা মিলে।

এদিকে পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ২০তম স্প্যানটি তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে করে প্রতিটি স্প্যান মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে পিলারে বসানো হয়।

পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যান ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজন। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২০টি বসানোর মধ্য দিয়ে এবার সম্পন্ন করা হয় প্রায় অর্ধেক সেতু দৃশ্যমান করার মাইলফলক।

প্রাথমিকভাবে ২৯ ডিসেম্বর এ স্প্যানটি বসানোর পরিকল্পনা করা হলেও হঠাৎ শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে নদীতে নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে দুদিন পিছিয়ে যায় স্প্যান বসানোর কাজ।

কুয়াশাকে হিসেবের মধ্যে রেখেই তাই নতুন পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে বলে আরও জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সেতুর ৪২ পিলারের মধ্যে ৩৬টির নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। বাকি পিলারগুলোর কাজও শেষের দিকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর